তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম মিজানুর রহমান আজহারী (বাংলা উচ্চারণ সহ দেখুন)

আপনারা যারা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের। আপনারা জানেন যে রাতের আরেকটি সালাত আছে। যাকে বলা হয় তাহাজ্জুদের নামাজ। এখন আপনারা যারা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম নিয়ত এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেট অনুসন্ধান করছেন।
তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম এবং নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। বিশেষ করে নামাজ কখন পড়তে হয়
এবং এই নামাজের ফজিলত কি তা জানা যাবে আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে। তাই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন। তাহলে বন্ধুরা চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
তাহাজ্জুদ মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট এবং নৈকট্য অর্জনের ইবাদত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর শ্রেষ্ঠ নামাজ তাহাজ্জুদ তাহাজ্জুদ মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এরশাদ করেছেন। রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাসে মহরমের রোজা।
আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের তাহাজ্জুদের নামাজ। রাতের শেষ ভাগে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করা হয়। মূলত এটাই তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদের নফল ইবাদত নেককার এবং উত্তম বান্দাদের বৈশিষ্ট্য
অর্থাৎ প্রকৃত মুমিন আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য গুরুত্বের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদ আদায়কারীর প্রশংসায় এরশাদ রয়েছে। তারা সেজদা করে তাদের প্রতিপালকের ডাকে আসে
এবং আশঙ্কায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে। প্রিয় নবী সঃ জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকেন নি। এই পোস্টের মাধ্যমে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
সামনে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সুরা ফাতিহার পর যে কোন সূরা দিয়ে এই নামাজ পড়া যায়। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু সালাম যত সম্ভব লম্বা কেরাত লম্বা রুকু এবং সেজদার সঙ্গে একান্ত নিবিষ্ট মনে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন।
তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। কেরাত উঁচু বা নিচু করা জায়েজ আছে। তবে কারো কষ্টের কারণ হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য। দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করার পর তাকবীরে তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলেন।
সাধারণত নফল নামাজের মতই ছানা সূরা ফাতেহা এবং অন্য সূরা মিলিয়ে নামাজ পড়তে হয়। রুকু সেজদা তাশাহুদ দুরুদ দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরানো পর্যন্ত সব কিছু অন্যান্য নফল নামাজের মতই। বন্ধুরা, আপনারা কি তাহাজ্জুদ নামাজের পড়ার নিয়ম
সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করছেন। তাহলে আসুন আমাদের ওয়েবসাইটে। রাসুলুল্লাহ সাঃ তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত করে আদায় করতেন। তিনি কখনো চার রাকাত কখনো আট রাকাত কখনো 12 রাকাত পড়তেন।
কিন্তু কেউ যদি এ নামাজ দুই রাকাত আদায় করেন। তাহলে তার তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় হবে। আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সাঃ অধিকাংশ সময় আট রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন। রাতের শেষ প্রহরে ঘুম থেকে ওঠার পর তাহাজ্জুদ পড়া সবচেয়ে উত্তম।
তবে এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত এই নামাজ পড়া যায়। আর এতে তাহাজ্জুদের ফজিলত লাভ হয়। কেননা তাহাজ্জুদ নামাজের মূল সময় এশার নামাজের পর থেকেই শুরু হয়, যদিও উত্তম সময় হলো ঘুম থেকে ওঠার পর।