এশার নামাজের নিয়ম (মহিলাদের ও পুরুষদের) সঠিক নিয়ম দেখুন

আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলমানদের উপর যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন এই সকল নামাজগুলোর মধ্যে এশার নামাজ হচ্ছে পঞ্চম ওয়াক্ত। আর আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়াও এশার বেতের নামাজের নিয়ম এবং এশার নামাজের মহিলাদের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন।
আশা করি পোস্টটি দেখলে আপনারা এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। নামাজ হচ্ছে ইসলামের অন্যান্য স্তম্ভ গুলোর মধ্যে অন্যতম। ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলমানদেরকে
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে বলেছেন। সেই সাথে নামাজগুলোর সময় ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পাঁচ ওয়াক্ত অন্যান্য নামাজগুলোর মধ্যে এশার নামাজের রাকাত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এশার নামাজ হচ্ছে 17 রাকাত। যেমন-চার রাকাত সুন্নত
চার রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নত দুই রাকাত নফল, তিন রাকাত বেতের, দুই রাকাত হালকি নফল। আপনারা যদি এশার নামাজ 17 রাকাত পড়তে চান তাহলে প্রথমে আপনাদেরকে এশারের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করে সুন্নত নামাজ পড়তে হবে।
এরপর চার রাকাত ফরজ পড়তে হবে। পরবর্তীতে দুই রাকাত সুন্নত পড়ে দুই রাকাত নফল পড়তে হবে। এরপর বেতের এবং হালকি নফল পড়তে হবে। আর এ সকল নামাজগুলো কিভাবে পড়বেন এ বিষয়ে আমরা
আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য কতগুলো পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট এর অন্য সকল পোস্টগুলোতে চোখ রাখুন। এশার ১৭ রাকাত নামাজের মধ্যে বেতের নামাজ হচ্ছে তিন রাকাত।
অন্যান্য রাকাতগুলোর চেয়ে বেতের নামাজ এর রাকাত একটু আলাদা হয়ে থাকে। আমরা এখানে বেতের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। বেতের নামাজ পড়তে হলে প্রথমে আপনাদেরকে আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর বাধঁতে হবে।
এরপর আপনাদেরকে সানা পড়ে সুরা ফাতিহা পড়তে হবে। এরপরে এর সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে রুকুতে যেতে হবে। রুকুতে গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম তিনবার বলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
পরবর্তীতে সেজদায় গিয়ে তিনবার সুবহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আলা বলে সোজা হয়ে বসতে হবে। এরপর আবার সেজদা দিয়ে একইভাবে উঠে দাঁড়িয়ে আবার সূরা পড়ে রুকু দিতে হবে। এরপর আবার সেজদা দিয়ে তাশাহুদ পড়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
See: এশার নামাজের নিয়ম
পরবর্তীতে আবার সূরা ফাতিহা পড়ে অন্য একটি সূরা মিলাতে হবে। এরপর তাকবীরে তাহরীমা বা হাত ছেড়ে দিয়ে আবার আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরীমা বাধঁতে হবে, এরপর দোয়ায়ে কুনুত পাঠ করতে হবে।
পরবর্তীতে একইভাবে রুকু এবং সেজদা দিয়ে তাশাহুদ পড়তে হবে। এরপর দুরুদ শরীফ এবং দোয়ায়ে মাসুরা পড়তে হবে। পরবর্তীতে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা পুরুষদের নামাজের সাথে মহিলাদের নামাজের নিয়ম এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছেন। আপনারা যারা মহিলারা রয়েছেন বা যারা এশার নামাজের মহিলাদের নিয়ম জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য
আমরা আমাদের ওয়েবসাইট এর অন্য কতগুলো পোস্টে মহিলাদের এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য সকল পোস্টগুলো দেখতে পারেন।