পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ-শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর।

নবম শ্রেণীর পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট আজকে প্রকাশ করা হয়েছে। তাই আপনি ইচ্ছা করলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই এসাইনমেন্ট এর উত্তর ছবি এবং পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে এই বিষয়ের সকল প্রশ্নের এসাইনমেন্ট এর উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নের উত্তর অনেক শিক্ষার্থী খুঁজছে। তাই আমি বলবো যে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন কারণ আমাদের এখান থেকে আপনি আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পারবেন।
আজকের প্রশ্নটি হল পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ-শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর। এবং এই প্রশ্নের উত্তর আমরা নিচে প্রকাশ করেছি।
পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ-শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর
দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২৫ মার্চ ২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই অ্যাসাইনমেন্ট কমপ্লিট করে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাদের বিদ্যালয় জমা দিতে হবে। তাই দেরি না করে এখনি আমাদের এখান থেকে আপনাদের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিন।
প্রশ্ন: পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ-শেষে তােমার অর্জনসমূহের তালিকা সম্বন্বিত একটি পােস্টার তৈরি কর।
সংকেত:
(নিচের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তুমি যা জেনেছ)
১। নাগরিকতা
২। পরিবার
৩। সমাজ
8। রাষ্ট্র
৫। আন্তর্জাতিক সংস্থা
উত্তর: পৌরনীতি বলতে সেই শাস্ত্রকে বােঝায়- যা নাগরিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের আচরণ ও কার্যাবলি নিয়ে আলােচনা করে। প্রখ্যাত ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ই. এম. হােয়াইট এর মতে, “পৌরনীতি হলাে জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা, যা নাগরিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার সঙ্গে জড়িত সব বিষয় নিয়ে আলােচনা কর।”
বিশিষ্ট চিন্তাবিদ এফ. আই. গাউড বলেন “মানুষ যে সব প্রতিষ্ঠান, অভ্যাস ও কার্যাবলির দ্বারা রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে এবং রাষ্ট্র প্রদত্ত অধিকার ভােগ করে, সে সব প্রতিষ্ঠান, অভ্যাস ও কার্যাবলি নিয়ে যে শাস্ত্র আলােচনা করে তাকে পৌরনীতি বলে। পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়টি পাঠ শেষে আমার অর্জনসমূহকে নিচে পােস্টারের মাধ্যমে উপস্থাপনা করে সংক্ষেপে তা আলােচনা করা হলাে:
নাগরিকতা
পৌরনীতি হলাে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। শাব্দিক অর্থে নগরের অধিবাসীকে নাগরিক বলে। পৌরনীতিতে নাগরিক শব্দের বিশেষ অর্থ রয়েছে। একটি রাষ্ট্রের সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষ যে পরিচিতি, মর্যাদা, অধিকার পেয়ে থাকে তাকে নাগরিকতা বলে। অতএব বলা যায়, নাগরিকতা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে ব্যক্তির অর্জিত পরিচিতি, গুণাবলি, সম্মান ও অধিকার। নাগরিক যদি যথাযথভাবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে তাহলে তার নাগরিকতার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা যেমন রাষ্ট্র প্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক ও মৌলিক অধিকার ভােগ করি, তেমনি আমাদেরকেও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়।
যেমন- রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, আইন মান্য করা, কর প্রদান করা, রাষ্ট্রের সেবা করা, সততার সহিত ভােটদান। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, “সেই ব্যক্তি নাগরিক যে কোন রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে, রাষ্ট্র প্রদত্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভােগ্ন করে এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে করে।”
পরিবার
একাধিক পুরুষ ও মহিলা, তাদের সন্তানাদি পিতামাতা এবং অন্যান্য পরিজন যে সংঘটন গড়ে উঠে তাকে পরিবার বলে। ম্যাকাইভারের মতে, সন্তান জন্মদান ও লালন-পালনের জন্য যে সংগঠিত ক্ষুদ্র বর্গকে পরিবার বলে। মূলত পরিবার হলাে সেহ, মায়া, মমতা ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গঠিত ক্ষুদ্র সামাজিক প্রতিষ্টান। সন্তান জন্মদান ও লালন পালন করা পরিবারের অন্যতম প্রধান কাজ।
Class 9 Civics (Pouroniti) Assignment
৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের সমাধান
মা-বাবা, ভাই-বোন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় সততা, শিষ্টাচার, উদারতা, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি শিক্ষা লাভের প্রথম সুযােগ পরিবারেই সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পরিবার আমাদের বুদ্ধি, বিবেক ও আত্মসংযমের শিক্ষা দেয় যা আমাদের সুনাগরিক হতে সাহায্য করে।
সমাজ
সমাজের সাথে মানুষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মানুষকে নিয়ে সমাজ গড়ে উঠে। সমাজ বলতে সেই সংঘবদ্ধ জনগােষ্টিকে বােঝায় যারা কোনাে সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একত্রিত হয়। অথ্যাৎ একদল লােক যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, তখনই সমাজ গঠিত হয়। সমাজের মধ্যেই মানুষের মানবীয় গুণাবলী ও সামাজিক মূল্যবােধের বিকাশ ঘটে। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল যথার্থই বলেছেন- মানুষ স্বভাবগত সামাজিক জীব। যে সমাজে বাস করে না, সে হয় পশু, না হয় দেবতা।
রাষ্ট্র
রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্টান। রাষ্ট্র গঠনের জন্য নির্দিষ্ট ভূখন্ড আবশ্যক। প্রতিটি রাষ্ট্রেরই আছে নির্দিষ্ট ভূখন্ড এবং জনসংখ্যা। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আরও আছে সরকার ও সার্বভৌমত্ব। মূলত এগুলাে ছাড়া রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে না। রাষ্ট্র গঠনের চারটি উপাদান রয়েছে। যথা: জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখন্ড সরকার ও সার্বভৌমত্ব। সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। অধ্যাপক গার্নার এর মতে, সুনিষ্ট ভূখন্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী, সুসংগঠিত সরকারের প্রতি স্বভাবজাতভাবে আনুগত্যশীল, বহিঃশত্রুর নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত স্বাধীন জনসমষ্টিকে রাষ্ট্র বলে।
দীর্ঘদিনের বিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন শক্তি ও উপাদান ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে হতে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়। যেসব উপাদানের কার্যকারিতার ফলে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়, সেগুলাে হলাে- সংস্কৃতির বন্ধন, রক্তের বন্ধন, ধর্মের বন্ধন, যুদ্ধবিগ্রহ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা। ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদ সম্পর্কে ড. গার্নার বলেন- ‘রাষ্ট্র বিধাতার সৃষ্টি নয়, বল প্রয়ােগের মাধ্যমেও সৃষ্টি হয়নি বরং ঐতিহাসিক ক্রমবিবর্তনের ফলে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে।
আন্তজার্তিক সংস্থা
এখানে ক্লিক করে বাকি অংশের উত্তর দেখুন
Read More Post
Class 9 Assignment Answer (All Subject)
Science Assignment Class 9 Answer 2021
History Assignment Class 9 Answer 2021

