রোজা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এখন রোজা রেখে কি কি করা যাবে এবং কি কি করা যাবে না সে সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। অবশ্যই তাই আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে
রোজা রেখে কি কি করনীয় এবং কি কি বর্জনীয়। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন এবং দেখে নিন। যে বর্তমান সময়ে রোজা রাখার ক্ষেত্রে কি কি করা যাবে।
তাহলে বন্ধুরা চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিয়ে। আশা করি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। রোজা রেখে কি কি করা যাবে, কি কি করা যাবে না।
সে সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। রোজা পারনের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এই সময়ে পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তবে ভুলক্রমে কেউ কিছু খেলে বা পান করলে তাদের রোজা ভঙ্গ হবে না। সহিহ বুখারী এবং মুসলিমের বর্ণিত হয়েছে নবী করীম সাঃ বলেন। যদি কেউ ভুলক্রমে পানাহার করে যায়।
সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে নেয়। আর কেউ যদি ভুলে পানাহার করার পরও যদি সে মনে করে তার রোজা ভেঙে গেছে। এরপর যদি সে কিছু খায় ও পান করে। তাহলে তার রোজা হবে না। পরে এই রোজা তাকে কাজ করতে হবে।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায়ক আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। রোজা রাখা অবস্থায় মুখ দ্বারা ওষুধ সেবন করা যাবে না।
See: রোজা রেখে কি কি করা যাবে না
অনুরূপভাবে কান, নাক ও মলদার দ্বারাও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এতে রোজা ভেঙে যায়। মোটকথা, যে ওষুধের প্রভাব সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে পৌঁছাবে, তা গ্রহণ করায় রোজা ভেঙে যাবে। তবে রোজা অবস্থায় গ্লুকোজ ও বলবর্ধক ইনজেকশন ছাড়া জীবন রক্ষাকারী
সব ধরনের ইনজেকশন ও করোনার টিকা নেওয়া যাবে। আপনার অনেক সময় ইন্টারনেটে এসে মেয়েদের রোজা ভাঙ্গার কারণ সম্পর্কে জানতে চান। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে দেখেছি যে মেয়েদের কোন কোন কারণে রোজা ভঙ্গ হতে পারে।
ঋতুবতী নারীদের জন্য রোজা না রাখা যেতে পারে। রোজা শুধু পানাহার ও রতিক্রিয়া দ্বারাই বিনষ্ট হয়; অন্য কোনো কারণে তা নষ্ট হয় না। উল্লেখ্য, রক্ত বের হওয়া বা তরল ক্ষরণ হওয়া অজু ভঙ্গের কারণ; রোজা ভঙ্গের কারণ নয়।
তবে নারীদের ঋতুস্রাব বা প্রসবোত্তর স্রাব হলে রোজা ভঙ্গ হবে। এই রোজা পরে কাজা আদায় করতে হবে। তবে কাফফারা দেওয়া লাগবে না তবে কোন ঋতুবতী মেয়ে মহিলা কোন সময় রোজা থাকা অবস্থায় তার স্বামীর সাথে সহবাস করতে পারবে না।