আপনার অনেক সময় প্রশ্ন করে থাকেন যে, কোন কোন জিনিসের মাধ্যমে রোজা ভাঙ্গা হয় যেসব কাজ করলে রোজা ভঙ্গ হয় না। সে সকল তথ্য এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আমরা যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ করে ফেলি। তার বেশ কিছু তথ্য এই পোস্টের মাধ্যমে জানা যাবে। রোজা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত।
তাই সে ব্যাপারে আমাদের সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। তাই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন এবং দেখে নিন। যে যেসব কারণে কোন রোজা ভঙ্গ হয় না।
পবিত্র মাহে রমজান রোজা রাখে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ। রোজা ভঙ্গের কারণে অনেকের মধ্যে বেশ কিছু ভুল ধারণা কাজ করে। কিন্তু এই কারণগুলোতে আসলে রোজা ভঙ্গ হয় না। আসুন আজকে জেনে নেই তেমন একটা বিষয়।
ভুলবশত কোন কিছু খাওয়া, ভুলবশত কোন কিছু পান করা, ভুল বসত স্ত্রী সহবাস করা, নিদ্রায় স্বপ্নদোষ হওয়ায়, স্ত্রীর প্রতি দৃষ্টিপাত করার ব্রাজ্জারস খলন ঘটা, তেল ব্যবহার করা, সিংগা গ্রহণ করা, সুরমা ব্যবহার করা, চুমু খাওয়া, অনিচ্ছায় বমি করা।
এছাড়া মিসওয়াক করা যেকোনো সময় হোক কাঁচা হোক বা সুস্থ হোক। গরম বা পিপাসার কারণে গোসল বা বারবার কুলি করা অনিচ্ছাবশত গলার মধ্যে অখাদ্য বস্তু চলে যাওয়া। যেমন ধোঁয়া, ধুলাবালি, মশা, মাছি ইত্যাদি।
ইনজেকশন নেওয়া, রোজা অবস্থায় দাঁত উঠলে শর্ত হলো কণ্ঠনালীর ভেতর রক্ত না যাওয়া, শুধু নজরের কারণে বীর্যপাত হওয়া, রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে কিংবা বের হলে।
যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় সে সকল তথ্য আলোচনা করবো আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমেসিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। আরবি দ্বিতীয় হিজরিতে আল্লাহ রব্বুল আলামিন মুসলিমদের ওপর রোজ ফরজের বিধান নাজিল করেন।
See: যেসব করলে রোজা ভঙ্গ হয় না
প্রতি বছর রমজান মাসে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সিয়াম পালন করেন। তবে সব মুসলিমদের ওপর রোজা ফরজ নয়। কোন ব্যক্তির ওপর রোজা ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে।
মুসলিম হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া বিবেকবান হওয়া রোজা রাখতে সক্ষম হওয়া নিষিদ্ধ বিষয়গুলি থেকে মুক্তি হওয়া। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, নফল রোজা রেখে ভুলে কিছু খেয়ে ফেললে সেই রোজা হবে কিনা কি ভেঙ্গে যাবে।
অথবা ফরজ রাখা রোজা হোক কারণ ভুলবশত কোন কিছু খেয়ে ফেললে কি রোজা ঠিক থাকে অর্থাৎ ভেঙ্গে যায় না। কিন্তু ভুলবশত কোন কিছু খাওয়ার পর যদি আবার ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া হয়। তাহলে সেই রোজা ভেঙ্গে যায়। ফিকহের কিতাবে রয়েছে যে,
পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়; যদি রোজাদারের এ কথা মনে থাকে যে; সে রোজা রেখেছে। সুতরাং কেউ যদি রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার ও সঙ্গম করে, তবে তার রোজা ভাঙবে না। অবশ্য, স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা থেকে বিরত থাকতে হব।
