আমাদের দেশে সর্বমোট 64 টি জেলা রয়েছে। এই সকল জেলাগুলোতে সময়ের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। যার কারণে রোজা রাখার ক্ষেত্রে সেহরি এবং ইফতারের সময়ের মধ্যেও বিভিন্ন জেলাতে সময়ের কিছুটা পার্থক্য হয়ে থাকে।
এর কারণ হচ্ছে পৃথিবীর আহ্নিক গতি। আর এর জন্য অনেকে জানতে চাচ্ছেন যে নীলফামারী জেলার ২০২৫ এবং ইফতারের সময় কখন। আর আপনারা যেন খুব সহজেই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন এর জন্য আমরা
এই পোস্টে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন। একজন রোজাদার ব্যক্তির কাছে সেহরি এবং ইফতারের গুরুত্ব খুবই বেশি। এছাড়াও একজন মুমিন মুসলমান এর কাছেও এর গুরুত্ব রয়েছে।
কারণ সেহরি এবং ইফতারের মাধ্যমে একজন মুসলমান রোজা রাখে। সেহরি করার পর সারাদিন কোন কিছু পানাহার না করে সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করতে হয়। এটি হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ।
আল্লাহ তায়ালা সেহরি এবং ইফতারের সময় নির্ধারণ করেছেন। তবে আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গাতে সেই সময় এ কিছুটা পার্থক্য থাকে। তাই আমাদের অবশ্যই সঠিক সময় দেখে সেহরি এবং ইফতারি করতে হবে।
অন্যান্য বছরের মত আমাদের দেশে এই বছরও ২০২৫ এর রমজান মাস শুরু হবে 24 মার্চ ২০২৫ তারিখ থেকে। আর আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলার সময় কম বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের বিভিন্ন জেলার
Download: Ramadan Calendar 2025 PDF
দেখুনঃ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫
সেহরি ও ইফতারের সময় এর তালিকা নির্ধারণ করেছেন। আপনারা যারা সেই তালিকা দেখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমরা এখানে ২০২৫ নীলফামারী জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় প্রকাশ করব।
ঢাকা জেলার সাথে অন্যান্য জেলার সেহরি এবং ইফতারের সময় কিছুটা যোগ-বিয়োগ করতে হবে। যেমন, ঢাকা জেলার সাথে নীলফামারী জেলার সেহরি এবং ইফতারের সময় এক মিনিট এবং 10 মিনিট যোগ-বিয়োগ করতে হবে।
অর্থাৎ, 24 মার্চ বা প্রথম রমজান এ নীলফামারী জেলার সেহরির সময় হচ্ছে 4:40 মিনিট এবং ইফতারের সময় হচ্ছে 6:24 মিনিট। 3 এপ্রিল অর্থাৎ 11 রমজান এর সেহরির সময় হচ্ছে 4:28 মিনিট এবং ইফতারের সময় হচ্ছে 6:29 মিনিট।
13 এপ্রিল অর্থাৎ 21 রমজান এর সেহরির সময় হচ্ছে 4:18 মিনিট এবং ইফতারের সময় হচ্ছে 6:33 মিনিট। এই সময়গুলো ছাড়াও আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বাকি 27 রমজান এর সময়সূচি ও প্রকাশ করেছি।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নীলফামারী জেলার বাকি সময় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। একজন মুসলমান রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার এবাদত করে থাকে। আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে
প্রত্যেক মুসলমানকে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখবে এবং বেশি বেশি করে আল্লাহ তায়ালার এবাদত করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাত দান করবেন। এছাড়াও রমজান মাসে বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার
এবাদত করলে দ্বিগুণ সওয়াব লাভ করা যায়। সেই সাথে রমজানে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যাকাত ফিতরা দেওয়া উচিত এবং গরিব দুঃখীদের দান-খয়রাত করা উচিত।
এতে আল্লাহ তায়ালা খুব খুশি হন। রমজান মাসকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন- রহমতের মাস, মাগফিরাতের মাস এবং নাজাতের মাস। রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা সকল জাহান্নামীদেরকে
তাদের শাস্তি থেকে বিরত রাখেন। সেই সাথে আল্লাহ তায়ালা রমজানে দুনিয়াতে রহমতের ফেরেশতা নাযিল করেন। তারা রোজাদার ব্যক্তিদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেন।

