আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত এবং গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহাজ্জুদ নামাজ কি তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে আপনারা হয়তো অবগত আছেন।
তাই আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করবো এবং এর ফজিলত কি সে সম্পর্কে আলোচনা করব। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের উদ্দেশ্যে কুরআন কারিমে বলেন,
রাত্রের কিছু অংশ তাহাজ্জুদ কায়েম করো। ইহা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। রমজান মাসের রহমতের মাসের শ্রেষ্ঠ রহমতের শ্রেষ্ঠ সময়। তাহাজ্জুদের সময় বছরের বিশেষ রাত সমূহ সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তায়ালার দুনিয়ার নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন।
তাহাজ্জুদের সময় প্রতিটি রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে এসে বান্দাদের আর্জি ও আবেদন নিবেদন শুনেন। রাতের ইবাদত প্রসঙ্গে কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে। রাতে দণ্ডায়মান হও কিছু অংশ বাদ দিয়ে
অর্ধরাত্রি অথবা তার চেয়ে কিছু কম অথবা তার চেয়ে বেশি এবং কোরআন তিলাওয়াত করো সুবিন্যস্তভাবে ও স্পষ্টভাবে। আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী। নিশ্চয়ই ইবাদতের জন্য রাত্রিতে ওঠা প্রবৃত্তি দমনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
চলুন জেনে নেওয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে। তাহাজ্জুদ নামাজের সময় রাতের অতিথি অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে তথা রাত 2 টার পর থেকে ফজরের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেহরির শেষ সময় হলে
তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়। তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ কষ্ট শ্রম পরিশ্রম সন্ধ্যা রাতে ঘুমিয়ে মধ্যরাতের পর সজ্জা ত্যাগ করাকে তাহাজ্জুদ বলা হয়। তাই তাহাজ্জুদের আগে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা তাহাজ্জুদ পড়া উত্তম।
রাসুলুল্লাহ সঃ প্রতি রাতে তাহাজত নামাজ আদায় করতেন। তাই এটা সুন্নাত অতিরিক্ত হিসেবে নফল। নবীজি সা এর জন্য এটি অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারিত নফলের মধ্যে তাহাজ্জত সর্বোৎকৃষ্ট আমল।
হজরত আলী রা বলেছেন, ‘যাঁরা রাত জেগে তাহাজ্জত পড়েছেন, তাঁরাই আধ্যাত্মিক জগতে আল্লাহর নৈকট্য লাভে ঊর্ধ্বারোহণ করেছেন।’ আপনার অনেক সময় ইন্টারনেটে এসে ৪০ দিন এক না করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফজিলত
সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে থাকেন। আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করছি। তাহাজ্জুদ নামাজ টানা 40 দিন আদায় করেন। দয়াময় আল্লাহর কাছে যা চান তাই পাবেন।
See: তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব
ইনশাআল্লাহ চাকরি নাই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েন টাকা নাই তাহাজ্জুদ পড়েন বিপদ আছেন তাহাজ্জুদ পড়ে কি দরকার। আপনার ইনশাআল্লাহ সব পাবেন। মহান আল্লাহর থেকে কিছু পেতে চায়,
সে যেন টানা ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে তার ইচ্ছা চেয়ে নেয় । অবশ্যই অবশ্যই তার যেকোনো হালাল ইচ্ছা আল্লাহতায়ালা কবুল করে নেবেন। সহিহ্ বোখারি আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের যার যা দরকার, আমরা যেন আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নেই। কারও কাছ থেকে কিছু পেতে হলে তার সঙ্গে যেমন খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন,
ঠিক তেমনি আল্লাহর কাছ থেকে কিছু পেতে হলে আমাকে-আপনাকে সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করা প্রয়োজন। আশা করি বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন আজকের আর্টিকেল।