ইন্টারেনেট আসার পর থেকে আমাদের জিবন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। আগের মত চিঠি আদান প্রদান করতে হয়না। বর্তমানে আমরা মেইল এর মাধ্যমে খুব কম সহজে মেসেজ আদান প্রদান করা যায়। অর্থাৎ আপনি চাইলে ঘরে বসে আপনার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন, এরই ফলশ্রুতিতে আপনি চাইলে ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের সেবা ভোগ করতে পারছেন।
এমন কি আগে টাকা পাঠাতে অনেক সময় লাগত। কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে এক সেকেন্ড এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় যেমন আপনি চাইলে ঘরে বসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ কাউকে টাকা পাঠানোর সহ যে কোন ধরনের কঠিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছেন কয়েক মিনিটেই।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের রয়েছে অনেক ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিকাশ, যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই নানা ধরনের কার্যাদি সম্পাদন করতে পারেন।বিকাশ হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি প্রতিষ্ঠান। যদিও ডাচ বাংলা ব্যাংক সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিকং চালু করে তবুও বিকাস টাকা পাঠানোর জন্য জনপ্রিয় মাধ্যম।
Table of Contents
বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪
আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে আসছি কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন। বাংলাদেশের রয়েছে অনেক ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিকাশ, যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই নানা ধরনের কার্যাদি সম্পাদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটি মিনিটে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম শিখতে হবে এবং তারপরে আপনার ওপেন করা ওই বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে আপনি যেকোন ধরনের কাজ করতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট আপনি চাইলে দুইভাবে খুলতে পারেন।বিকাশ অ্যাপস এর দ্বারা ও বিকাশ এজেন্ট দ্বারা বিকাশ এ একাউন্ট খোলা খুবই সহজ আপনার একটা এন্ড্রয়েড ফোন ও NID কার্ড থাকলেই হবে। মোবাইলে প্লে স্টোর থেকে এর app ইনস্টল করে ২ মিনিটে একাউন্ট খুলতে পারবেন। অ্যাপ ইন্সটল করার পর ওপেন করুন, প্রথমে আপনার কিছু পারমিশন চাইবে যথা ফোন কল,কন্টাক্ট এবং লোকেশনের।
এগুলা এলাও করে দিন তারপর অ্যাপটি রেডি হয়ে যাবে। তারপর যে নাম্বার এ একাউন্ট খুলবেন সেই নাম্বার দিতে হবে। তারপর আপনার নাম্বারে একটা ভেরিফিকেশন কোড আসবে। সেটা আপনার এপ্স এর দিতে হবে। তার পর জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে একাউন্ট ওপেন করতে হবে। উল্লেখ্যযে আপনি একটা এন আই ডি দিয়ে একটি একাউন্ট খুলতে পারবেন।
নিজের সেলফি ছবি তুলে আপলোড করার আগে তার কিছু নিয়ম লেখা আছে সেগুলি ভালো করে পড়েনিন। যেমন ছবি অন্ধকার তুলবেন না,আপনার ফেস যে গোল ফ্রেম দেখাবে তার মধ্যে তুলবেন। আপনার ফেস স্ক্যান হলে কনফারমেশন sms পেতে wait করুন এর রকম ম্যাসেজ দেখতে পাবেন। ম্যাসেজ টি ক্রস দিয়ে কেটে দিন এবং উপরে লগইন এ ক্লিক করুন। এবার নিজের নম্বর দেখতে পাবেন আর নিচে ওই ৫ ডিজিটের পিনটি দিয়ে লগইন করুন।
সকল তথ্য দেওয়ার পর বিকাশ আপনার তথ্য যাচাই করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় নিবে। যদিও সাথে সাথেই কনফার্মেশন ম্যাসেজটি দিয়ে দেয়। এরপর আপনাকে ৫ সংখ্যার একটি কোড সেট করতে হবে। যেগুলো পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত। এগুলো মেনেই পিনকোড টি সেট করতে হবে। বন্ধুরা এই ছিলো বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম। এভাবেই ঘরে বসেই বিকাশ অ্যাপ থেকে খুলতে পারেন নিজের বিকাশ একাউন্ট।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
আচ্ছা আজকে আমরা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব আপনারা চাইলে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম আমাদের এই ব্লগ থেকে দেখে নিতে পারেন
সব কাগজপত্র এবং তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর ব্যবসা করার অনুমতি দেবে প্রতিষ্ঠান। যিনি এজেন্ট হতে চান তার ফটো আইডি। এখানে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন ট্রেড লাইসেন্স ।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
তারা চাইলে জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়াও জাতির জাতির পরিচয় পত্র নেতারা জন্ম নিবন্ধন বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধন বিকাশ একাউন্ট খুলতে হলে আপনার জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি নিয়ে এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ারে চলে যাবেন। এভাবে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট চেক করার নিয়ম
আপনার বিকাশ একাউন্ট এর ব্যালেন্স চেক করার জন্য যেটা করতে হবে নিচে দেওয়া হলো-
১। প্রথমে মোবাইলে *247# ডায়াল করে আপনার বিকাশের মেন্যুতে যান
২। আপনার মোবাইলের বিকাশ মেন্যু থেকে “MY BKASH” সিলেক্ট করুন
৩। MY BKASH সিলেক্ট করার পরে “CHECK BALANCE” সিলেক্ট করুন
৪। সর্বশেষ আপনার পিন নাম্বার টি দিন এবং ব্যালেন্স জেনে নিন।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হলে করনীয়
খোঁজ নিয়ে জানলাম ভুল পিন নম্বর দিয়ে টাকা ট্রান্সফার অথবা ব্যালেন্স দেখার চেষ্টার কারণে বিকাশ একাউন্ট লক হলে, তা ঠিক করতে হলে নিকটবর্তী বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে।ভোটার আইডি কার্ড সহ নিজেই উপস্থিত হয়ে বিকাশ একাাউন্ট ঠিক করে নিতে হবে।
বর্তমানে শুধু জেলা শহরগুলোতেই আছে বিকাশ কাস্টমার সাপোর্ট সেন্টার! অবশেষে তাদের নিয়ম মেনেই ঠিক করতে হয়েছে একাউন্টটি। কাজেই এসব হয়রানি এড়াতে পিন নম্বর নিয়ে সতর্ক থাকাই উত্তম! তাই আপনার একাউন্ট এর পিন নাম্বার কারও কাছে শেয়ার করবেন না।
অনেক প্রতারক চক্র একাউন্ট থেকে টাকা নেয়ার ধান্দা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার বিকাশে পিন নাম্বার কয়দিন পর পর চেঞ্জ করে নিন। এতে আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।
একটা nid দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকে আমরা টপিক অত্যন্ত ইম্পর্টেন্ট আমরা আজকে আপনাদের আছে আপনাদের এই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কয়টি একাউন্ট খুলতে পারবেন এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করব। আপনি আপনার এনআইডি দিয়ে সর্বোচ্চ কয়টি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কয়টি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন সেটা আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি চাইলে একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং এটা হল সঠিক নিয়ম। আপনি চাইলে একের অধিক একাউন্ট খুলতে পারবেন তবে অ্যাকাউন্ট গুলো যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যখন আপনাকে তথ্য হালনাগাদ এর জন্য ডাকা হবে তখন আপনি একটি আইডি দিয়েই একটি বিকাশ একাউন্ট রাখতে পারবেন অন্য গুলি বন্ধ হয়ে যাবে।
বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার নিয়ম
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদের শেখাবো কিভাবে বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করবেন। অনেকেই আপনারা আমার এই ওয়েব সাইটে বিকাশের বিভিন্ন পোস্ট দেখে জানতে চাইছেন কিভাবে বিকাশ একাউন্ট পার্মানেন্টলি ডিলিট করা যায়। আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদেরকে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিব কিভাবে বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করবেন।
বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করতে হলে অবশ্যই বিকাশ কাস্টমার সার্ভিসে যেতে হবে।
আপনাকে সাথে করে দুটো জিনিস নিয়ে যেতে হবে:
আপনি যে সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সেই সিমটা সাথে নিয়ে যেতে হবে।
যার নামে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন তাকে যেতে হবে। যদি আপনার নামে খোলা থাকে তাহলে আপনি যাবেন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড সাথে নিয়ে যাবেন এবং যদি অন্য কারো নামে আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা থাকে তাহলে তার ভোটার আইডি কার্ড এবং তাকে সাথে করে নিয়ে বিকাশ কাস্টমার সার্ভিসে যেতে হবে।