তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল (তাহাজ্জুদ নামাজ কি নফল)

আপনারা জানেন যে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি এবাদত। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ত সুন্নত নাকি নফল। সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। যদি কোন ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে।

তার মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল। দুই রাকাত করে নাকি চার রাকাত করে নামাজ পড়তে হয়। সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে। তাহলে বন্ধুরা, চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা নফল বিশুদ্ধ হাদিসের বর্ণনা জানা যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কখন তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাত পড়তেন। কখনো ছয় রাকাত পড়তেন। কখনো আট রাকাত পড়তেন। কখনো দশ রাকাত পড়তেন।

আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আয়েশা কে জিজ্ঞেস করেন যে, রমজানে নবিজির নামাজ কেমন হতো? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. রমজানে এবং রমজানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না।

প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত বিতর পড়তেন। আশা করি বন্ধুরা, বুঝতে পেরেছেন যাবতীয় তথ্য।

আরো যদি কোন তথ্য পেতে চান। আমাদের ওয়েবসাইটে দেওনা আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন। আপনার অনেক সময় ইন্টারনেট থেকে অনুসন্ধান করে থাকেন। যে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম নিয়ম সম্পর্কে।

আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে আরো বলেন আরো রাতের কিছু অংশ তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাদের প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।

আলেমদের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের বিধান সুন্নতে গায়েরে মুয়াক্কাদা বা নফল নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম থেকে এই নামাজ 4,6 8,10 রাকাত পড়া যায়। তা প্রমাণিত এর থেকে কম বা বেশি পড়তে সমস্যা নেই।

See: তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

যেহেতু নফল। তাই যত ইচ্ছা করা যায়। তবে উত্তম হলো ৮ রাকাত পড়া  পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেন রাত্রের কিছু অংশ তাহাজ্জুদ সহ জাগ্রত থাকুন এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত।

আব্দুল্লাহ ইবনে আবী কাইস বলেন, ‘আমি হযরত আয়েশা রা.-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবীজী বিতর কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন।

তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তের রাকাতের অধিক পড়তেন না আশা করি বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন। যাবতীয় তথ্য আরো যদি কোন তথ্য পেতে চান। আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া

অন্যান্য আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ সা এর উপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। তাই তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত হননি।

তবে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এটা সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা অর্থাৎ এ নামাজ আদায় করলে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়, কিন্তু আদায় করতে না পারলে কোনো গুনাহ হবে না।

Stay active and updated with the AllEducationResult.Com family to get all the information about Education and Job. Like our Facebook page to get all the updates and join our Facebook group.